অপহরণের একদিন পর আব্দুল্লাহ তানভীর তনু উদ্ধার আটক-১

অপহরণের একদিন পর আব্দুল্লাহ তানভীর তনু উদ্ধার আটক-১

পাবনা প্রতিনিধিঃ
পাবনার বেড়ায় অপহরণের একদিন পর অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যের ছেলে অপহৃত স্কুলছাত্র আব্দুল্লাহ  তানভীর তনুকে (১৭) অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে বেড়া মডেল থানা পুলিশ।

জানা যায় আসামি  ফজর ও তার কয়েকজন সঙ্গী সহ গত কয়েকদিন আগে মোহনগঞ্জ সরদার পাড়ার ইকবাল  হোসেন(৫২) এর বাড়িতে গিয়ে আসামি ফজর ইকবালকে বলেন আপনার ছেলের বিয়ে কবে ইকবাল  জানান ১৭/০৩/২০১৮ তারিখে, আচ্ছা ঠিক আছে বিয়ে দিচ্ছেন সমস্যা নেই আমাদের একলক্ষ টাকা দিতে হবে যদি টাকা না দাও তাহলে তোমার অবস্থা খারাপ আছে ।

অথবা তোমার যেকোনো ছেলেকে  ধরে নিয়ে যাবো তখন ইকবাল হোসেন বলে আমি একজন সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত সার্জেন্ট,  আমার বড় ছেলে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি করে আমি তোমাদের হুমকিধামকিতে ভয়  পাইনা ।

তখন ইকবালকে খুনের হুমকি ও গালাগাল করে চলে যায় । এরপর ১৬ তারিখে  ইকবালের ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ তানভীর তনু (১৭) সে এস এস সি পরিক্ষা দিয়েছে সে ওই দিন  বিকাল ৫:০০টার দিকে মোহনগঞ্জ বাজারে গেলে ফজর এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী চার পাঁচটা মোটর  সাইকেল নিয়ে এসে তনুকে জোর পুর্বকভাবে মারধর করে মোটর সাইকেলে তুলে হাঁটুরিয়া বাজার  চার মাথার দিকে নিয়ে যায়।

এরপর ফোনে ইকবালকে বলে ৬০,০০০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে । এতে ইকবাল বেড়া মডেল থানায় গোপনে ইনফর্ম করে এবং রাত ১০ টার দিকে ছেলেকে  বাচানোর জন্য ৬০,০০০ টাকা নিয়ে তার ভাতিজা আতিকুল ইসলাম (২১)কে সাথে নিয়ে  পেচাকোলা নদীর ঘাটের দিকে যায় ও আসামীর হাতে টাকা তুলে দেয় এদিকে বেড়া মডেল থানার  ভারপাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন ও সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে গেলে তারা পুলিশকে দেখে  পালানোর চেষ্টা করে তখন ফজরকে মুক্তিপণের টাকাসহ হাতানাতে ধরে ফেলে পুলিশ ।

তনুকে  অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে বেড়া মডেল থানা পুলিশ, দেখা যায় ছেলেটিকে বেধরক মারপিট করা  হয়েছে । তার শরিরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়। তাকে পুলিশের সহযোগিতায় বেড়া  হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বেড়া মডেল থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা ও এলাকাবাসীর সুত্রে জানা যায়  তারা ওই এলাকায় সন্ত্রাসী, ছিন্তাই, চাঁদাবাজী,মাদক ব্যবসায়ী, খুন অপহরণকারী বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত। ভারপাপ্ত কর্মকর্তা আরও জানান এ মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment